Uncategorized

Toyota GT-86 রিভিউ

▪️ Toyota 86, আজকের রিভিউ তারকা! অনেকেই মজা করে এই গাড়িকে বাংলাদেশের জাতীয় স্পোর্টস কার বলে থাকেন। স্পোর্টস কারের তুলনায় এই গাড়ির দাম খুব বেশি না। একইরকম দেখতে বাজারে বর্তমানে ৩টা মডেলের গাড়ি আছে। যেইগুলা দেখতে প্রায় একই। অন্য মডেলগুলোও অবশ্য টয়োটার পরিচালনায় বিভিন্ন দেশের জন্য বানানো। যেইগুলোর নাম যথাক্রমে Toyota 86, Subaru BRZ, Scion FRS. তবে বাংলাদেশে সাধারণত টয়োটা ৮৬ আসে। এই গাড়ির সাধারণত দুইটা প্যাকেজ হয়। যথাক্রমে, Toyota 86 এবং Toyota 86 GT । টয়োটা ৮৬ বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটা স্পোর্টস কার। এর প্রোডাকশন শুরু হয় ২০১২ সাল থেকে এবং ২০২১ সালে এই গাড়ির ২য় জেনারেশন বাজারে আসে। আজকের আলোচনা টয়োটা ৮৬  এর প্রথম জেনারেশন সম্পর্কে। বাংলাদেশে রিকন্ডিশন ২০১৬ মডেলের  টয়োটা ৮৬ এর দাম বর্তমানে ৩৫-৪৫ লাখ টাকার মধ্যে।

▪️ এক্সটেরিয়রঃ

 টয়োটা ৮৬ দুই-দরজার কুপে সেইপের একটা গাড়ি। এর আউটলুক বেশ সুন্দর। সামনে এলইডি হেডলাইট এবং সাথে এলইডি ফগ লাইট ও আছে। হেডলাইটের সাথে ডে টাইম রানিং লাইট (ডি- আর এল) থাকে। যেহেতু এটা স্পোর্টস কার, এর ডিজাইন একেবারে স্পোর্টি। দুইপাশের ফেন্ডারে বাতাস পাস করার জন্য ভেন্ট আছে। যেটা দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়। এই গাড়ির বডি একটু ফোলানো ।যেটার কারণে গাড়িটাকে বেশ আকর্ষণীয় লাগে। স্পোর্টস কার হিসেবে গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স বেশ ভালোই। পেছনের টেইললাইটগুলো এলইডি যেগুলো দেখতে বেশ সুন্দর দেখায়। সাথে ডুয়েল এক্সস্ট থাকে। গাড়ির সাথে ১৭ ইঞ্চির এলয় রিমস এবং লোপ্রোফাইল টায়ার থাকে। পেছনের ট্রাঙ্ক স্পেস  স্পোর্টোস কার হিসেবে ভালোই জায়গা আছে।

▪️ ইন্টেরিয়রঃ

 টয়োটা  ৮৬ টয়োটার  এন্ট্রি লেভেলের স্পোর্টস কার হলেও,এর ইন্টেরিয়র দেখতে সুন্দর। এই গাড়ির সাথে সিক্স স্পিড অটোমেটিক/ ম্যানুয়েল দুইধরণের ট্রান্সমিশনই আসে। অটোমেটিক এর সাথে  প্যাডেল শিফটার থাকে। স্টেয়রিং লেদার র‍্যাপ করা, যার কারণে স্টেয়ারিং ধরে বেশ আরাম। স্টেয়ারিং টেলিস্কোপ এডজাস্টেবল সাথে ক্রুইজ কন্ট্রোল এবং স্টেয়ারিং কন্ট্রোল আছে। গেইজ ক্লাস্টারে ৩টা মিটার আছে। দুইটা এনালগ এবং একটা ডিজিটাল। জিটি ৮৬ প্যাকেজের সাথে ডুয়েল জোন ক্লাইমেইট কন্ট্রোল আসে। উইন্ডো এবং সাইড মিররগুলো পাওয়ার এডজাস্টেবল। সাথে পুশ স্টার্ট তোহ থাকছেই। এছাড়াও এই গাড়ির সাথে একটা ৭ ইঞ্চি সাইজের এন্ড্রয়েড ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, ৮টা স্পিকার এবং রিভার্স ক্যামেরা আছে। টয়োটা ৮৬ এর সাথে বাকেট সিট আসে। কালো এবং লাল রঙের কম্বিনেশনের কারণে  সিটগুলো বেশ স্পোর্টি মনে হয়। দুইদরজার গাড়ি হলেও এতে মোট ৪টা সিট আছে। যেহেতু স্পোর্টস কার, তাই হেডরুম + লেগস্পেস খুব বেশি নাই। পেছনে দুইটা সিট থাকলেও সেখানে বসে খুব একটা আরামে বসা যাবে না। বাচ্চাদের জন্য ঠিক আছে, তবে পেছনে বড় কেও বসতে সমস্যা হবে। তবে ২ জনের জন্য এই গাড়ি ঠিক আছে। টয়োটা ৮৬ এর  সাথে ৬টা এয়ার ব্যাগ থাকে। 

▪️ ইঞ্জিনঃ

টয়োটা ৮৬ এর সাথে ২ লিটার ফোর সিলিন্ডারের সিক্স স্পিড অটোমেটিক/ম্যানুয়্যেল ট্রান্সমিশন রিয়ার হুইল ড্রাইভ ইঞ্জিন থাকে। যেটার আউটপুট ২০৫ হর্সপাওয়ার। যেহেতু স্পোর্টস কার,তাই এর সাথে স্পোর্টস সাসপেন্স থাকে যেইটা একটু স্টিভ,ভাঙ্গা রাস্তায় ধাক্কাগুলো ভালোই টেরপাওয়া যাবে। টয়োটা ৮৬ এর ব্রেকিং সিস্টেম অসাধারন। ব্রেমবো ফোরহুইল ডিস্ক ব্রেক আসে গাড়ির সাথে। যেগুলার ব্রেকিং পার্ফরমেন্স অনেক ভালো।

▪️সবমিলায়,কম বাজেটের স্পোর্টস কার হিসেবে জিটি ৮৬ এর বেশ খ্যাতি আছে। এই গাড়ির বিশ্বব্যাপি অসংখ্য পুরস্কার আছে। স্পোর্টোস কার হিসেবে ৩৫-৪০ লাখ টাকা বাজেটের মধ্যে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে এই গাড়ি বেস্ট একটা অপশন।

Leave a Reply