ইঞ্জিনঅয়েলের ধরণ
Synthetic oil
Synthetic blends
High mileage oil
Conventional oil.
ইঞ্জিনঅয়েলের গ্রেড কি?
SAE (Society of Automotive Engineers)ইঞ্জিনঅয়েল ও ট্রান্সমিশন ওয়েলের সান্দ্রতার উপর ভিত্তি করে তাদের গ্রেড নামকরন করেছে। সান্দ্রতা হল তরলের অভ্যন্তরীণ ঘর্ষণকে প্রকাশ করার পরিমাণ। ঘরের তাপমাত্রায় বিভিন্ন ইঞ্জিনের তেলের বিভিন্ন সান্দ্রতা থাকে। তারা তাপমাত্রা পরিবর্তনের জন্য ভিন্ন ভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। যেমনঃ 0W, 5W, 10W, 15W, 20W, 25W, 20, 30, 40, 50, and 60। এখানে W দ্বারা ইঞ্জিনওয়েলের weight বোঝায়। কম সান্দ্রতা হলে সেই তেল পাতলা হবে আর বেশি সান্দ্রতা হলে সেই তেল বেশি ঘন হবে।বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় গাড়িতে 0W-20 এবং 5W-30 ব্যবহার করে কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখা দরকার কোন গাড়ির ইঞ্জিনের জন্য কোন গ্রেড প্রয়োজন। কোম্পানি প্রদত্ত কিছু তথ্য থাকে যা আমরা মেনে চলা উচিত তাহলে ইঞ্জিন ভালো থাকবে।
কিভাবে ইঞ্জিনঅয়েল চেক করতে হবে??
সপ্তাহে অন্ত্যত ১ বার হলেও ইঞ্জিনওয়েল চেক করা প্রয়োজন।
১.সকালে গাড়ি স্টার্ট করার আগে অর্থাৎ ইঞ্জিন ঠান্ডা থাকা অবস্থায় চেক করতে হবে।
২.ডিপস্টিকটি আস্তে করে খুলে নিতে হবে।
৩.সাদা টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে।
৪.পূনরায় ডিপস্টিকটি প্রবেশ করিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে আবার খুলে নিতে হবে।
৫.তারপর লক্ষ্য করবেন ডিপস্টিকে হাই বা লো দাগ কাটা থাকবে। পাশের ছবিটি লক্ষ করুন। যদি কম থাকে তাহলে রিফিল করবেন পরিমান মত নরমাল রেঞ্জ থাকলে কিছুদিন পর আবার চেক করবেন।
৬.আবার একটি সাদা টিস্যু দিয়ে ডিপস্টিকটি
মুছে নিবেন যদি দেখেন টিস্যুটি বেশি কালো
হয়েছে এবং আঙ্গুলে লাগিয়ে যদি অনুভব করেন
বেশি পাতলা হয়েছে পানির মত তাহলে।
বুঝবেন ইঞ্জিনওয়েল পরিবর্তন করার সময় হয়েছে।
৭.ওয়ার্নিং সাইন আসলেও ইঞ্জিনওয়েল চেক করতে হবে।
(পাশের ছবি গুলো খেয়াল করুন)
সাধারনত আমাদের দেশের প্রায় সকল মেকানিক ৩০০০-৩৫০০কিঃ মিঃ পরপর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন। এতে ইঞ্জিন ভালো থাকে। তবে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে গাড়ির কম্পানি রিকমান্ডেড যেই অয়েল আছে তা ব্যবহার করা।