Loyalty Card
Coming Soon
বাংলাদেশের রাস্তায় ১০টা গাড়ির মধ্যে অন্তত ৭টা গাড়ি থাকে টয়োটা ব্রান্ডের। আমাদের দেশে সাধারণত বেশ কয়েকটা দেশ থেকে টয়োটার গাড়ি আসে। যেমন, জাপান, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া। এইগুলোর মধ্যে জাপানী গাড়িগুলো ছাড়া অন্যদেশে তৈরি সব গাড়িগুলো ব্রান্ড নিউ অর্থাৎ জিরো মাইলেজ হিসেবে আসে। জাপান থেকে রিকন্ডিশন গাড়ি আসে বেশি। রিকন্ডিশন মানে হলো, জাপানে বেশ কয়েক বছর ব্যবহার করা গাড়ি। যদিও জাপান থেকে নতুন গাড়িও আনা সম্ভব। জাপান ডোমেস্টিক মার্কেট বা JDM মার্কেটের গাড়িগুলোরই জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে কিছু জনপ্রিয় জেডিএম গাড়িগুলো হলো, টয়োটা এক্সিও, এলিয়েন, প্রিমিও, নোয়া, হায়েস, করোলা, প্রোবক্স, একুয়া, সিএইচআর, প্রিয়াস ইত্যাদি। এইগুলো jdm মার্কেটের গাড়ি। বাংলাদেশের রাস্তায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় টয়োটা ব্রান্ডের গাড়ি এবং সেগুলোই বেশিরভাগই বাংলাদেশে রিকন্ডিশন গাড়ি হিসেবেই আসছে। এই গাড়িগুলো মূলত জাপানে চলাচলের জন্য বানানো হয়ে থাকে এবং এইগুলোর বিল্ডকোয়ালিটি, ডিউরাবিলিটি, ডিজাইন সবকিছুই অন্যান্য দেশের টয়োটা থেকে অনেক বেশি ভালো হয়। যার কারণে একটা জাপানী টয়োটা গাড়ি কোনও ঝামেলা ছাড়াই ১৫-২০ বছর খুব ভালো সার্ভিস দিতে পারে। বাংলাদেশের রাস্তায় এখনো প্রচুর নব্বই দশকের টয়োটা গাড়ি দেখা যায়। যেইগুলো গত ২৫-৩০ বছরে কয়েক লাখ কিলোমিটার চলানো হয়েছে। তারপর ও এখনো গাড়িগুলো ঠিকঠাক !
টয়োটা শুধুমাত্র বাংলাদেশে না। সারপৃথিবীতেই জনপ্রিয়। টয়োটার উপর মানুষদের আস্থা অন্যান্য ব্রান্ডের চেয়ে অনেক বেশি। টয়োটা একটা গাড়ি বানানোর আগে রিসার্চের জন্য প্রচুর খরচ করে। অনেক সময় নিয়ে অনেক রিসার্চ এবং পরীক্ষায় পাশ করার পর টয়োটার গাড়ি বাজারে আসে। টয়োটা যেই গাড়িই বাজারে আনুক, সেই গাড়িটা ভালো হবেই। কারণ, এটা টয়োটা।