Uncategorized

গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে রিসেল ভ্যালু নিয়ে চিন্তাভাবনা করা কতটুকু প্রয়োজনীয়?

রিসেল ভ্যালু বলতে আমরা কি বুঝি?  সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে, রিসেল ভ্যালু মানে হলো, গাড়ি বিক্রি করার ক্ষেত্রে সেই গাড়ি থেকে কতটুকু মূল্য ফেরত পাওয়া  যায়?

অনেকেই হয়তো চিন্তা করে থাকেন, নতুন গাড়ি কেনার আগেই বিক্রি করার চিন্তা করা কি ঠিক? এইটা আসলে একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হিসাব। তবে, সাধারণভাবে হিসাব করলে, বাংলাদেশে বেশিরভাগ গাড়ি ব্যবহারকারী ১৫-৩০ লাখ টাকা দামের গাড়ি ব্যবহার করেন। এই ধরনের গাড়ি যারা ব্যবহার করেন, তারা অবশ্যই চাইবেন, ৫-১০ বছর পর  গাড়ি বিক্রি করার সময়ে যেনো সহজেই গাড়ি বিক্রি করতে পারেন, একটা ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন। পুরানো গাড়ি বিক্রির টাকা আপনাকে পরের গাড়ি কেনার সময় অনেক সহযোগিতা করবে। এইজন্যই রিসেল ভ্যালু নিয়ে ভাবা উচিৎ।

মনে করেন, আপনার ৪০ লাখ টাকা বাজেট, এই বাজেটে এখন বাজারে অনেক ব্রান্ডের বিভিন্নরকম গাড়ি পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কোনটা নিবেন? আপনি যদি রিসেল ভ্যালু চিন্তা করে গাড়ি কিনতে চান, তাহলে টয়োটা ব্রান্ডের কোনও গাড়ি কেনাটাই আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। আর যদি, রিসেল ভ্যালু আপনার প্রয়োজন না হয়, ১০ বছর পর, আপনার গাড়ি বিক্রি করতে না পারলে অথবা খুব কম দামে বিক্রি করলেও যদি আপনার সমস্যা না থাকে, তাহলে আপনি টয়োটা ছাড়াও অন্যান্য ব্রান্ডের গাড়ি, কোরিয়ান, চায়েনিজ, মালেশিয়ান গাড়ি নিতে পারেন।

চায়েনিজ/মালেশিয়ান গাড়ি কিনলে, আপনি বাজেট হিসেবে টয়োটার গাড়ির চাইতেও অনেক বেশি ফিচার্স এবং প্রিমিয়াম গাড়ি পাবেন।

রিসেল ভ্যালু যদি আপনার কাথে প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য বাংলাদেশে রিসেল ভ্যালু আছে, এমন গাড়িই কেনা উচিত হবে। রিসেল ভ্যালু চাইলে, আপনার কাছে গাড়ি পছন্দের অপশন বেশি থাকবে না।  অন্যথায়, রিসেল ভ্যালু আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় হয়ে থাকলে, আপনার কাছে অনেক অনেক অপশন রয়েছে গাড়ি পছন্দ করার। আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট হিসাবে বেছে নিতে পারেন যেইকোনও ব্রান্ডের পছন্দের গাড়ি।

Leave a Reply