Loyalty Card
Coming Soon
বর্তমানে আমরা যেসব গাড়ি চালিয়ে থাকি তার বেশির ভাগ গাড়ি কিন্তু অটো ট্রান্সমিশন হয়ে থাকে।
অটো ট্রান্সমিশনে আমরা দেখতে পাই ইংরেজি বর্ণমালার কয়েকটি বর্ণ থাকে।
গিয়ার শিফটারে P – R – N – D – L – S এই বর্ণগুলোর দ্বারা কিন্তু কিছু ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে ।
P- PARK GEAR
গিয়ার লিভার P তে সেট করে দিলে গাড়ি পাকিং মুড়ে চলে যাবে ।
• গিয়ার লক হয়ে যাবে । চাকাগুলো আর সামনে পেছনে ঘুরবে না ।
• গাড়ি পার্কিং / ট্রাফিক জ্যামে থাকলে , এই গিয়ারে রাখা হয় ।
R- REVERSE
N – NEUTRAL
D – DRIVE
গিয়ার D তে শিফট করে দেয়ার মানে হলো , ড্রাইভ মুডে গিয়ার একটিভ হয়েছে এক্সিলারেটরে চাপ দিয়ে গাড়ির গতি বাড়ার সাথে সাথে গিয়ারও অটমেটিক উপরের দিকে শিফট করবে ।
– D এর আবার কিছু ভাগ আছে D1 , D2 ইত্যাদি ।
• D1– গিয়ারে টর্ক বেড়ে অধিক শক্তি পায় । গর্ত কাঁদা কিংবা বালিতে চাকা ডেবে গেলে , গাড়ি উঠানোর জন্য এই গিয়ার ব্যবহার করা হয় ।
• D2– তাৎক্ষণিকভাবে ইঞ্জিন বুস্ট করতে , বা পাহাড়ি রাস্তায় উপরের দিকে ওঠার সময় ব্যবহার হয় ।
S- SPORT
• গিয়ার লিভার S এ সেট করলে গাড়ি স্পোর্টস মুড়ে যাবে ।
• লিভার গিয়ার S এ থাকলে , লো ট্রান্সমিশনে ইঞ্জিনে অধিক শক্তি সরবরাহ করে ।
• সাধারনত আঁকাবাঁকা রাস্তায় RPM ঠিক রেখে বাক নেয়ার সময় এবং গ্রাম্যপথে লো গিয়ারে অনেকক্ষণ শক্তি ধরে রেখে ড্রাইভিং এ সাহায্য করে ।
L – Drive ( LOW )
গিয়ার লিভার যদি L এ থাকে তাহলে গাড়ি লো মুডে থাকবে।
• লো ( L ) গিয়ারে গাড়ির ট্র্যাকশন কন্ট্রোল বেড়ে যায় ।
• ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচল বা উঁচু জায়গা থেকে নিচে নামার সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হবে ।
• কোন কোন গাড়িতে L এর পরিবর্তে B ব্যবহার করা হয় ।
B মানে হলো , লো গিয়ারে গতানুগতিক ট্রান্সমিশন থেকে বেশি ইঞ্জিন ড্রাগ পাওয়া যায় । উচু পাহাড় থেকে নামার সময় B গিয়ার ব্যবহার করা হয় ।
OD – OVERDRIVE OD হচ্ছে অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের সর্বোচ্চ গিয়ার ।
(ফুয়েল ইকোনমি চিন্তা করলে এটিতে ফুয়েল বেশি খরচ হবে)
WARNING
গিয়ার চেঞ্জ করার সময় অবশ্যই ব্রেক ফুল প্রেস করবেন । গাড়ি সম্পুর্ণ থামা ছাড়া গিয়ার চেঞ্জ করবেন না এতে গিয়ার বক্সে প্রেসার পড়ে ।
একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছি
ধরুন আপনি অনেক স্পিডে সামনে হাঁটছেন হটাৎ করে কি আপনি পিছে হাটতে পারবেন??
পারবেন না
কারণ আপনি গতিশীল, আপনি পিছনে হাটতে হলে আপনার শরীর সম্পুর্ন থামিয়ে তারপর পিছে হাটতে পারবেন। ঠিক তেমনি গাড়ির ক্ষেত্রে গাড়ি সম্পুর্ণ থামা ছাড়া গিয়ার চেঞ্জ করবো না।এতে গিয়ার বক্স ভালো থাকবে।
সাবধানে গাড়ি চালাবেন,ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।