Uncategorized

গাড়িতে আগুন লাগার কারণ ও প্রতিকার

গাড়িতে আগুন লাগা কোনো স্বাভাবিক ব্যপার নয় । গত কয়েক মাস যাবৎ আমাদের দেশের প্রায় অনেক গাড়িতে হটাৎ করে আগুন লেগে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু কি কারণে এভাবে হটাৎ আগুন লাগলো এটি আমাদের অনেকের প্রশ্ন??

কি কি কারণে গাড়িতে আগুন লাগতে পারে ?

  • ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে
  • ফুয়েল ট্যাংক বা লাইন লিক থাকলে
  • গাড়ির ইলেক্ট্রিক ওয়্যারিং ত্রুটি থাকলে
  • সি এন জি বা এল পি জি কনভার্টেড গাড়ি
  • গাড়িতে এক্সট্রা কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানোর ফলে  ইত্যাদি 

এবার একটু বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্ট করিঃ

ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলেঃ আমাদের মানুষের যেমন বিশ্রামের প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি একটি গাড়ি দীর্ঘ সময় চালনা করার পর তারও বিশ্রামের প্রয়োজন । যখন আমরা কোনো লং জার্নিতে যাই তখন গাড়ির ইঞ্জিনের ভিতর থাকা পিস্টন এবং অন্যান্য জিনিসের ঘর্ষনের ফলে তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপ এক পর্যায়ে অধিক পরিমানে বৃদ্ধি পায় ফলে গাড়িতে আগুন ধরার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় । এছাড়া রেডিয়েটর ফ্যান না চললে বা  কুল্যান্ট ওয়াটার কমে গেলে না শেষ হয়ে গেলেও ইঞ্জিন গরম হয়ে যায়। তাই একটানা গাড়ি চালানোর পর কিছুক্ষন বিরতি দেয়া প্রয়োজন এতে গাড়ি  ভালো থাকবে  এবং গাড়ির চালকও সুস্থ থাকবেন ।

ফুয়েল ট্যাংক বা লাইন লিক থাকলেঃ   আমরা সকলেই জানি জ্বালানি হলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ ফলে যেকোনো ধরনের জ্বালানি আগুনের সংস্পর্শে আসলে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের গাড়িগুলো পেট্রল/ডিজেল/অক্টেন চালিত হইয়ে থাকে ।কোনো কারণে যদি এই ফুয়েল লিক করে তবেই গাড়িতে আগুন লাগতে পারে ।কিন্তু একটি প্রশ্ন আগুন জালানোর জন্য ম্যাচের কাঠি বা লাইটার প্রয়োজন হয় তবে গাড়িতে ফুয়েল লিক হলেই কিভাবে আগুন ধরে?? এটী হতে পারে গাড়ি ঘর্ষনের কারণে বা গাড়ির স্পার্ক প্লাগ লুস কানেকশন থাকার কারণে ।আবার যদি গাড়িতে স্মোক করে সেক্ষেত্রেও হতে পারে। তাই অন্তত বছরে একবার হলেও সম্পুর্ন গাড়ির ফুয়েল সিস্টেম চেক করানো ঊচিত । যদি কখনও গাড়িতে পেট্রল/অক্টেন /ডিজেলের গন্ধ পেয়ে থাকেন  তবে গাড়ি চালানোর পুর্বে টর্চ লাইট দিয়ে নিজে দেখে নিন প্রয়োজনে মেকানিকের পরামর্শ নিন।

গাড়ির ইলেক্ট্রিক ওয়্যারিং ত্রুটি থাকলেঃ গাড়ির ইলেক্ট্রিক ওয়ারিং ত্রুটির একমাত্র কারন হলো আমাদের দেশের কিছু অদক্ষ মেকানিক  কারন তারা একটি ফিউস নষ্ট হলে তখন এটিকে তার দিয়ে ঠিক করে দেয় ফলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এবং লাইনগুলোতে সঠিক পরিমানে পাওয়ার সাপ্লাই হয় না আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পাওয়ার সাপ্লাইয়ের পরিমান বেড়ে যায় ফলে সেখানে তাপ উতপন্ন হয়ে আগুন ধরতে পারে । আবার অনেক ক্ষেত্রে গাড়িতেও সর্টসার্কিট হতে পারে । তাই সর্বদা দক্ষ মেকানিক দ্বারা কাজ করানো উচিত।

গাড়িতে এক্সট্রা কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানোর ফলেঃ এখানে এক্সট্রা ডিভাইস বলতে কিছু চাইনিস নিম্ন মানের প্রোডাক্টের কথা বুঝানো হয়েছে । তাই গাড়িতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু না লাগানোই ভালো আর লাগালে ভালো প্রোডাক্ট লাগানো উচিত। চায়নাতে একটি প্রোডক্টের কয়েকটি ধরন পাওয়া যায় কিন্তু আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভের আসায় কম দামী নিম্ন মানের পন্য এনে আমাদের দেশের মার্কেটে আসল পন্য বলে চালিয়ে দেয় । আবার এসব পন্য গাড়িতে সঠিকভাবে না লাগানোর ফলেও ইলেক্ট্রনিক শর্ট সার্কিট হতে পারে।

সি এন জি বা এল পি জি কনভার্টেড গাড়িঃ আমাদের অনেকে ভুল ধারনা যে সি এন জি বা এল পি জি কনভার্টেড গাড়ি মানেই হলো ঝুকিপুর্ন গাড়ি। মুলত নিম্ন মানের সিলিন্ডার এবং কিট ব্যবহার করে ফলেই ঝুকিপুর্ন গাড়িতে পরিনত হয়। তাই অল্প কিছু টাকা বাচানোর জন্য নিজের জীবন এবং এতো টাকার ইনভেস্টমেন্ট শেষ করে দিবেন না । এছাড়া গাড়িতে ধুমপান করা থেকেও বিরত থাকতে হবে ।

আমাদের একটু অবহেলার কারণে ঘটতে পারে বিপদ তাই সচেতন হউন ।গাড়িতে ধুমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং রেগুলার মেইটেনেন্স করতে হবে। গাড়িতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখুন ।যদি অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ থাকে তা গাড়ি থেকে সরিয়ে রাখুন।

কার’স ফিড বিডি এবং হটশট অটোমোটিভের সাথেই থাকুন।

ধন্যবা

Leave a Reply