Loyalty Card
Coming Soon
এই দুইটা গাড়ির মধ্যকার পার্থক্য অনেকেই বুঝতে পারেন না। “দুইটাই একইরকম গাড়ি, ল্যান্সার ই-এক্স এর মডিফাইড অথবা বডিকিট ভার্সন হলো ইভোলিউশন এক্স, ল্যান্সার ই-এক্স এর হায়েস্ট ট্রিম ইভোলিউশন এক্স, ল্যান্সার ই-এক্স এর পূর্ণরূপ হলো ইভোলিউশন এক্স” এই দুটো গাড়ি নিয়ে এইরকম নানারকম ভেবে থাকেন অনেকেই। এই সবগুলো ধারণাই আসলে ভুল!
ল্যান্সার ই-এক্স হলো রেগুলার ফ্যামিলি সেডান গাড়ি। অন্যদিকে ইভোলিউশন এক্স হলো স্পোর্টস সেডান! মোটকথা, দুইটাই মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। আজকে আলোচনা করবো দুইটা গাড়ির মধ্যকার কিছু পার্থক্য সম্পর্কে! অর্থাৎ আপনি কিভাবে বুঝতে পারবেন, কোনটা ল্যান্সার এবং কোনটা ইভোলিউশন!
এক্সটেরিয়র ডিজাইনঃ
ল্যান্সার ই-এক্স এবং ল্যান্সার ইভোলিউশন এক্স দুটো গাড়িরই বাইরের ডিজাইনের মধ্যে অনেক মিল আছে। যেমন, লাইটগুলো দেখতে একইরকম। দুইটা গাড়িতেই সানরুফ পাওয়া যায়। তবে পার্থক্য গুলো হলো, ল্যান্সার ই-এক্স হলো রেগুলার সেডান গাড়ি। যা দেখতে সাধারণ ৫ সিটের গাড়ির মতোই। ল্যান্সার ই-এক্স এ ১৫ ইঞ্চি সাইজের রিমস থাকে। অন্যদিকে ইভোলিউশনে থাকে ১৭/১৮ ইঞ্চি সাইজের রিমস। ৫ সিটের গাড়ি হওয়া সত্ত্বেও ইভোলিউশন এক্স দেখতে অনেক স্পোর্টি। ইভোলিউশন এক্সের এক্সটেরিয়র ডিজাইন একটু ফোলানো। যার কারণে গাড়িটা দেখতে অনেক স্পোর্টি দেখায়। সামনের এবং পেছনের ফেন্ডারগুলো রেগুলার ল্যান্সার থেকে অনেকটাই ফোলানো থাকে ইভোলিউশন এক্স মডেলের মধ্যে। এছাড়াও ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপ এর মধ্যে পার্থক্য আছে। রেগুলার ল্যান্সার ইক্স মডেলের ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপ হয় সার্কেল শেইপের। অন্যদিকে ইভোলিউশনের ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপ থাকে স্কয়ার শেইপের।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনঃ
ইন্টেরিয়র ডিজাইনের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে দুইটা গাড়িতেই। ল্যান্সার ইক্স মডেলে, রেগুলার সেডান গাড়িতে যেইসব ফিচার্স থাকে, ওইসবই থাকে। অন্যদিকে ইভোলিউশন এক্স মডেলে রিকারো স্পোর্টস সিট থাকে। ড্যাশবোর্ড এর বিল্ডকোয়ালিটি অনেক বেটার থাকে। এছাড়া ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও অনেক বেশি আকর্ষণীয় ইভোলিউশন এক্স মডেলে
ইঞ্জিন পার্ফরমেন্সঃ দুটো গাড়ির মধ্যকার আসল পার্থক্য থাকে এই জায়গায়! ইঞ্জিন পার্ফরমেন্স! ল্যান্সার ইক্স এ ১৫০০ সিসির ইঞ্জিন থাকে। কিন্তু ইভোলিউশন এক্স মডেলে থাকে ২০০০ সিসির ইঞ্জিন। ল্যান্সার ইক্স গাড়িতে ১০৯ হর্সপাওয়ার এবং ১৪৩ নিউটন মিটার টর্ক থাকে। অন্যদিকে ইভোলিউশন এক্স মডেলের স্টক ইঞ্জিন ক্ষমতা ৩০০ হর্সপাওয়ার এবং ৩৭০ নিউটন মিটার টর্ক!! ল্যান্সারে ২টা ডিস্কব্রেক এবং ২টা ড্রাম ব্রেক থাকে। অন্যদিকে ইভোলিউশনে ৪টা উচ্চব্রেকিং পার্ফরমেন্স সম্পন্ন ব্রেমবো ডিস্ক ব্রেক থাকে।
দাম- দুটো গাড়িই প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে গেছে এবং আমাদের দেশে এখন আর রিকন্ডিশন আর পাওয়া যায় না এই গাড়িগুলো। তবে যখন পাওয়া যেতো, তখন ২৫ লাখ টাকার আশপাশে রিকন্ডিশন্ড ল্যান্সার ই-এক্স এবং ৬০ লাখ টাকার আশপাশে ল্যান্সার ইভোলিউশন এক্স পাওয়া যেতো।